আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক দশক পর আফ্রিকার দেশ মালি থেকে ফ্রান্স ও তাদের আফ্রিকান- ইউরোপিয়ান মিত্রদের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। তবে সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি স্যাল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে সাহেল রাজ্যগুলোর সঙ্গে আরও সংহতি স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সেনেগালের প্রেসিডেন্ট বলেন, আফ্রিকাতে যদি শান্তি ও নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা থাকবে না। ফ্রান্স এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা মালি থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে এমন মন্তব্য করেন ম্যাকি স্যাল। আফ্রিকান ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে আফ্রিকা।
পশ্চিম সাহেলে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং হামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই সহিংসতা বিস্তৃত হয়েছে সেনেগাল, মৌরিতানিয়া, মালি, বুর্কিনা ফাসো, নাইজার এবং চাদ পর্যন্ত।
প্রেসিডেন্ট ম্যাকি স্যাল আরও বলেন যে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়, একটি বহু-জাতি মিশনে, ৪২টি দেশ থেকে এক লাখের বেশি সৈন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু যখন সাহেলের কথা আসে, তখন পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা।
সেনেগালের প্রেসিডেন্ট বলেন, গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানানো হচ্ছে আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরণের জন্য। কিন্তু সেটি সফল হয়নি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মালিতে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রান্স এবং তার মিত্ররা বলেছে যে তারা সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে। এক সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে মালি থেকে সেনা প্রত্যাহার হবে। ২০১৩ সালে দেশটিতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল ফ্রান্স ও তাদের মিত্ররা। তবে আফ্রিকার দেশ মালিতে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করতে নারাজ ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে